শিক্ষাখাতে জাতীয় বাজেটের ২০% বরাদ্দ দিতে হবে
– জাতীয় শিক্ষক ফোরাম
জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার তারিখ বার বার পরিবর্তনের কারণে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। প্রায় দেড় বছর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অধিকাংশ শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তারা বই-পুস্তক এর পরিবর্তে শুধু গেমস নয় মাদকের দিকেও ধাবিত হচ্ছে যা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়ংকর ও অশনি সংকেত। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুতশিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কোন বিকল্প রাস্তা নেই।
আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর উদ্যোগে ‘সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেয়া ও শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দের দাবীতে’ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সংগঠনের জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাষক আব্দুস সবুর এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি জনাব হুমায়ুন কবির, জনাব ফজলুল হক মৃধা, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক নাসির উদ্দীন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইশতিয়াক আল আমীন, কলেজ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান, স্কুল বিষয়কসম্পাদক এস এম মহিউদ্দিন মোল্লা।
অধ্যাপক মাহবুব আরও বলেন, প্রতি বছর বাজেটের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও শিক্ষা খাতে যে বরাদ্দ দেয়া হয় তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। আবার যে বরাদ্দ দেয়া হয় তা দূর্নীতির কারণে শতভাগ বাস্তবায়িত হয় না। তিনি জোর দিয়ে বলেন, করোনাকালীন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শিক্ষা খাত। শিক্ষা খাতকে রক্ষা করতে জাতীয় বাজেটে শিক্ষা খাতে কমপক্ষে ২০% বরাদ্দ দিতে হবে।
আলোচনা সভায় জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর সিনিয়র সহসভাপতি এবিএম জাকারিয়া বলেন, দেশের ৭ হাজার ইবতেদায়ী মাদরাসার ৩০ হাজার শিক্ষক নামে মাত্র বেতনে চাকুরি করছে যা শিক্ষক সমাজের জন্য লজ্জাজনক। এজন্য দেশের সকল ইবতেদায়ী মাদরাসা এমপিওভুক্ত করা সময়ের দাবী। তিনি আরও বলেন, দারুল আরকার মাদরাসার দু হাজার শিক্ষক দেড় বছর ধরে বেতন পাননা। এটা মেনে নেওয়া যায় না। তিনি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।